- দাদা একটা Gold Flake দেবেন। - এই দুপুর গরমে, এখানে, সিগারেটে সুখটান দিতে নাকি কোনো ঝামেলা টামেলা ? - আরে তুই! এখানে! - Expect করিস নি তো ? জানি সেটা। বললি না তো এখানে কেন ? - ওই আর কি, সারাদিনের চাপ, তার মাঝে নিজের জন্য সময় দেওয়া ... এই ... - কিন্তু অপু তুই তো সিগারেট ...... - কোনটাতে বেশি অবাক হোলি ? আমার সিগারেটের নেশা দেখে নাকি মেয়ে হয়ে সিগারেট খাওয়া ? - না সেটা নয়। কারণ জানতে চাই। কেন ? মানে কি এমন হলো যার জন্য ... -বাদ দে। আচ্ছা লাইটার আছে ? - লাইটার নেই , দেশলাই আছে, চলবে ? - সিগারেটটা ধরানোর মতো , আগুন হলেই হবে ! - এই নে - Thanks ... - কারণটা কিন্তু তুই এড়িয়ে যাচ্ছিস। - ধোঁয়ার সাথে সমস্যা গুলো উড়িয়ে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা আরকি ! - জীবন লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার মেয়ে তো তুই না। তবে কেন ? - সব যন্ত্রণা থেকে শান্তি পেতেই তোর হাতটা ধরতে চেয়েছিলাম। সেটা বন্ধুত্বের নয়, ভালোবাসার। তুই পারিস নি। বাবা চলে যাওয়ার পর মা'কে ভালো রাখতে গিয়ে সবকিছু ভুলে গেছিলাম। যখন তোকে আঁকড়ে ধরতে চাইলাম তুই হাতটা ছেড়ে দিলি। এরপরেও কি আত লড়াই করা সম্ভব ছিল ? - কাকিমা এখন কেমন আছে ? - মা বাবাকে খুব miss করত, একদিন আমার আড়ালে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে যায়। ঠিক সেই সময় একটা গাড়ি এসে ... Hospitalised করতে করতেই সব শেষ। ব্যাস ... এই তো ... - সিগারেটের ফিল্টারটা ফেলে দিল রোহিত। বলল, এবার কি করবি ? একা একা তো জীবনটা কাটানো যায় না। - জীবনটাও জ্বলন্ত সিগারেটের মতোই। একটু একটু করে পুড়তে পুড়তে হঠাৎ যেমন শেষ হয়ে যায় ... - আমাকে একবার সুযোগ দিবি ? কথা দিচ্ছি তোর কোনো কষ্ট হবে না। শুধু একবার ? - সব শেষ হয়ে গেছে already, এখন আর সম্ভব নয়। Feelings, emotions সবকিছুকে গলা টিপে মেরে ফেলেছি, আর ...... - একটু থেমে রোহিত বলে, সিগারেট তো শেষ , এরপর ? - বসে থাকবো, অন্যদিন একাই থাকি, আজকে তোকে পেলাম । - মাঝে মধ্যেই আসিস এখানে ? - হ্যাঁ , প্রায়ই , ব্যস্ত শহর থেকে পালাতে তো পারিনা , তাই সরে আসি , আবার সন্ধ্যে নামলে শহরের ভীড়ে মিশে যাই । - বেশ, ভালো থাকিস। নিজের খেয়াল রাখিস।।
We have dedicated and hardworking people always ready to help.